(টেক্সটাইল প্রকৌশল অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য) :
কিছুদিন থেকে স্টুডেন্টদের উদ্দেশ্য করে কিছু লেখার চেষ্টা করতেছি। ভালো খবর এটা যে সবাই আমার লেখাগুলো খুব ভালোভাবে নিচ্ছে। স্টুডেন্টদের উদ্দেশ্য করে লেখার আসল উদ্দেশ্য হলো কিছু ভালো মেসেজ তাদেরকে দেওয়া। যাতে তারা বিষয়গুলো নিয়ে ভাবে ও কাজে লাগায়। যাই হোক আজকে একটা গতানুগতিক টপিক নিয়ে কথা বলবো। সিনিয়রদের সাথে ভালো সম্পর্ক কেনো বজায় রাখবেন এটা নিয়ে।
বিশেষ করে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের /কলেজ /ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের পথপ্রদর্শক এ্যালুমিনিরা৷ এ্যালুমিনিদের সাথে সম্পর্কের বিষয়টা মজবুত হবে যখন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে তাদের সাথে আপনার সম্পর্ক ভালো থাকবে। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়/ কলেজের আপনার সিনিয়র ভাইয়ের সাথে আপনার সম্পর্ক ভালো মানে আপনি চাকরী জীবনে বেশি বেনিফিট পাবেন এমনটা না। এই ধারনা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। একজন ভালো বড় ভাই আপনার ভালো Mentor (পরামর্শদাতা)।
আপনার কোন বিষয়ে লেকিং, কি করতে হবে, কোন বিষয়ে জোর দিতে হবে, কোনো সমস্যায় পড়ছেন কি না। এই সকল সমস্যার সমাধান আপনি আপনার মেন্টরের কাছে পাবেন৷ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কমপক্ষে একজন বড় ভাইকে মেন্টর হিসেবে নিতে হবে৷ কিভাবে আগাবেন। কোথায় কি দরকার এগুলো তার কাছ থেকে শিখে নিবেন।
সে আপনারা এক বছরের বড়। ক্যাম্পাস জীবনের অভিজ্ঞতা আপনার থেকে ১ বছরের বেশি। আপনাকে ভুল গুলো ধরিয়ে দিতে ও সঠিক পথ দেখাতে সে যথেষ্ট।
ক্যাম্পাসের বাহিরে যখন চাকরী করতে যাবেন। চাকরী পাওয়া ছাড়াও যাবতীয় সমস্যায় আপনি যাকে কাছে পাবেন সে আপনার সিনিয়র। চাকরী জীবনে কোন সমস্যায় পড়লে প্রথম ফোনটা যাবে আপনার কোনো সিনিয়র ভাইয়ের কাছে ভাই এই সমস্যায় পড়ছি কি করা যায়?
এছাড়া আপনার সেক্টর রিলেটেড সে কোনো প্লাটফর্মের সাথে নিজেকে দেখতে চাইলে আপনাকে আগে সিনিয়রদের দারস্থ হইতে হবে। আপনার সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটা প্লাটফর্ম লাগে যেমন ধরেন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যালুমিনি এসোসিয়েশন তারা ফ্রেশারদের ও এ্যালুমিনিদের সুযোগ সুবিধা ও নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত জুনিয়রদের বিভিন্ন সেমিনারের মাধ্যমে দিক নিদর্শনা দেয়।এই প্লাটফর্মটা পাওয়ার জন্যও হলেও সিনিয়রদের সাথে ভালো সম্পর্ক দরকার।
আমি ব্যক্তিগতভাবে দেশের প্রায় ২৫,৩০টা বিশ্ববিদ্যালয়ের খোজ খবর রাখি বা আল্লাহ দিলে পাচ্ছি। সিনিয়ররা কতটা দরকার একজন ফ্রেশারের এটা বলে বুঝানো সম্ভব না। আমার ক্যাম্পাসে কোন সিনিয়র নাই বাট আমি একজন মেন্টর খুজে নিয়েছি। কারন মেন্টর দরকার। আপনার ভুলগুলো যে ধরিয়ে দিবেন। আপনাকে সঠিক পথ দেখাবেন। আচ্ছা আমি একটু Primeasia University এর কথা বলি। আমার দিক থেকে যদি আমি বলি এদের টেক্সটাইল ডিপার্ট্মেন্টের এ্যালুমিনিরা এতটা খেয়াল এদের রাখে যে বলার মতো না। সিনিয়ররা সব সময় জুনিয়রদের খেয়াল রাখে। সমস্যা দেখে। চাকরী থেকে শুরু করে স্কিল ডেভেলপমেন্ট সব দায়িত্ব এদের সিনিয়রদের৷ আমি হলফ করে বলবো এটা সিনিয়র জুনিয়র স্ট্রং বন্ডিংয়ের জন্য পসিবল হয়েছে। একটু ভাবুন একসাথে চার পাচ হাজার টেক্সটাইল গ্রাজুয়েট যদি একটা এ্যাসোসিয়েশনে থাকে তাহলে জুনিয়রদের আর কেনো চিন্তা থাকার কথা না। এদিকে বুটেক্সেও আছেন। তাদের বন্ডিং ভালো।
এখানে আমার মেসেজটা হলো টেক্সটাইল সেক্টর বলুন আর যে কোন ইন্জিনিয়ারিং সেক্টর বলুন। উপর উঠতে সিনিয়রের হাত লাগবেই আপনার। আর একটা কথা পাশ করার পর চারিদিকে তাকালে শুধু সিনিয়রদের পাবেন। আর কাউরে পাবার পসিবিলিটি নাই। মাথায় রাখবেন এটা।
নিজের জন্য কাজ করুন নিজের মেন্টর সিলেক্ট করুন। আর সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন।
আপনি সিনিয়রদের সাথে সুসম্পর্ক রাখলেন বা না রাখলেন তাতে সিনিয়রদের একেবারে কিছু যায় আসে না। মাথায় রাখবেন দরকারটা আপনার৷ তাদের মেন্টর কিন্তু আপনি না 🙂
বি.দ্রঃ একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সঠিক উচ্চতায় নিতে গেলে সিনিয়রদের কন্ট্রিবিউশান ছাড়া সম্ভব না। তাদের দেখানো পথে বাকিরা আসবে। লেখাটা সবার পড়া উচিৎ। আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের জন্য শেয়ার দিন৷
Writer:
Blogger Noyon
Comments
Post a Comment