সব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার নিজের চাকরী নিয়ে অভিযোগ করে না কিছু ইঞ্জিনিয়ার উপভোগও করেন : (পড়ুন)
"গত এক সপ্তাহ যাবত অফিসে কাজের অনেক প্রেসার। বাসায় ফিরতে প্রায় রাত ১২:৩০ - ১.০০ টা বেজে যায়। কিন্তু আমি খুবই এনজয় করি। এনজয় করার কারণ গুলো নিচে শেয়ার করলাম।
১. ফেব্রিক মার্কেটিং এন্ড মার্চেন্ডাইজিং বরাবরই আমার ভালো লাগে।
২. টেক্সটাইল এর উপর আমার পড়াশোনা ১০ বছর। আর এই ১০ বছরে আমার সবচেয়ে ভালো লাগার সাবজেক্ট ছিল ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং। আর আমি এখন সেই ফেব্রিক নিয়েই কাজ করছি।
৩. বিজনেস কমিউনিকেশনে আমি ভালো কারণ স্টুডেন্ট লাইফ থেকে আমি যতটুকু সময় একাডেমিক পড়াশোনাতে দিয়েছি ঠিক ততটুকু সময় দিয়েছি কমিউনিকেশন স্কীলের উপর (English Spoken, Writing, Reading, Chinese Basic, Mailing, public speaking, presentation, Soft Skills)। আর এই স্কীলগুলো খুব কাজে লাগছে যা আমি খুবই এনজয় করি।
৪. আমি ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করি ২০১৭ সাল থেকে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিংও আমি এনজয় করি। আমার এই স্কীলটাও এখন খুব কাজে লাগছে। সর্বপ্রথম ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে জেনেছি ২০১৬ সালে আমার বন্ধু Emdad Dunea এর কাছ থেকে। ধন্যবাদ বন্ধুকে।
৫. নতুনত্বের প্রতি আমার একটা মোহ আছে। আমি প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করি। এই ডিপার্টমেন্টে প্রতিদিন নতুন নতুন প্রবলেম ফেইস করি। যদিও এগুলো সলভ করা প্যারাদায়ক কিন্তু দিনশেষে খুব ভালো লাগে এই ভেবে যে নতুন প্রবলেম গুলো সলভ করতে পেরেছি আর একটা সময় আসবে যখন এই প্রবলেম গুলো আমার কমন হয়ে যাবে।
৬. সর্বশেষ কারণটা হলো আমার সহধর্মিণী Sabekunnahar Sabi . আমাদের বিয়ের বয়স মাত্রই সাড়ে চার মাস। অথচ আমি এত্ত এত্ত ব্যস্ত থাকি যে কখনো কখনো সারাদিনে একটা মেসেজও করতে পারিনা কথা বলাতো দূরের কথা। তার উপর অনেক রাতে বাসায় ফিরা। কিন্তু সে কখনোই রাগ করে না। উল্টো আমাকে খুব হেল্প করে, কেয়ার করে। আমার প্রতি তার একটা সহানুভূতি দেখি রাতে বাসায় আসার পর। এই ব্যাপারটা আমাকে খুব এনার্জি দেয়, এনকারেইজ করে আমাকে। ধন্যবাদ বউকে পাশে থাকার জন্য। "
লেখক :
Jahir Skhan
Country Manager, Meidao Textile Technology co.,Ltd.
আমরা সবাই চাকরী নিয়ে অভিযোগ করি। এটা ভালোনা ওটা ভালো না৷ আসলে আমরা আমাদের প্যাশন কোথায় এটা খুজি না কখনো। যদি প্যাশন খুজে পাই তাহলে কাজ করতেও আনন্দ লাগবে। জহির ভাইয়ের এই লেখাটা তার প্রমাণ৷ কোনটা কাজ করতে আপনার ভালোলাগে ঐটা খুজুন আগে। তারপর দেখবেন সারাজীবন কাজ করতে আনন্দ উপভোগ করবেন।
ছবিতে : জহির ভাই৷
Comments
Post a Comment